শাহাদাত হোসেন,রাউজান( চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
কর্ণফুলী নদী থেকে প্রতিদিন ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। সরেজমিনে দেখা গেছে,চট্টগ্রামের রাউজানের বাগোয়ান ইউনিয়নের পাচঁখাইন, লামুর হাট, খেলার ঘাট এলাকায় কর্ণফুলী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলণ করছেন বালু খেকোরা। বালু উত্তোলন করার পর কর্ণফুলী নদীর তীরে বিশাল পাহাড়ের মতো স্তুপ করে রাখা হয়৷এই বালু খেকোরা চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যায়ল থেকে কোনো ইজারা না নিয়ে এভাবে বালু উত্তোলণ করে যাচ্ছে।এতে সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমান রাজস্ব আয়। এছাড়াও রাউজানের নোয়াপাড়া ইউনিয়নের কচুখাইন,নোয়াপাড়া চৌধুরী হাট,উভলং এলাকায় কর্ণফুলী নদী থেকে বালু উত্তোলণ করা হয়।নোয়াপাড়া অংশে একটি বালু মহল ইজারা দেওয়া হয়েছে। লাম্বুর হাট,খেলার ঘাট,পাচঁখাইন এলাকায় পাশ্ববর্তী কর্ণফুলী নদী থেকে বালু উত্তোলনের জন্য কোন বালু মহল ইজারা দেওয়া হয়নি বলে প্রশাসনের সূত্রে জানান যায়।স্থানীয়রা জানায় সরকার দলীয় কিছু নেতাকর্মী কর্ণফুলী নদী থেকে অবৈধভাবে উত্তোলন বালু করছে।তারা প্রতিদিন কর্ণফুলী নদীর বালু বিক্রি করে কয়েক লাখ টাকা অবৈধভাবে আয় করছে বালুখোকো সিন্ডিকেটরা। বিপুল অর্থ বিত্ত গাড়ী বাড়ীর মালিকও হয়েছে তারা। এক সময়ে কোন সহায় সম্পত্তি না তাদের থাকলেও বালু খেকো সিন্ডিকেটের সদস্যরা গত কয়েক বছরে কর্ণফুলী নদী থেকে বালু বিক্রি করে কোটি টাকার মালিক। প্রতিদিন কয়েক লাখ টাকার বালু বিক্রি করলে ও কর্ণফুলীর বালু মহল ইজারা না নেওয়ায় সরকার প্রতি বছর কয়েক কোটি টাকার রাজস্ব আয় হারাচ্ছেন।রাউজান নোয়াপাড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ইউনিয়ন সহকারী ভুমি কর্মকর্তা এস এম হেলাল উদ্দিন বলেন,কর্ণফুলী নদীর নোয়াপাড়া কচুখাইন থেকে উভলং পর্যন্ত আবারো কর্ণফুলী বালু মহল (১) ইজারা পাওয়ার আবেদন করেন সরোয়ার টের্ডিং নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।আগামী বৈশাখ মাসে কর্ণফুলী বালু মহল(১) ইজারা দেওয়া হবে। কর্ণফুলী বালু মহল (২) বাগোয়ান ইউনিয়নের পাচখাইন থেকে লাম্বুুর হাট খেলার ঘাট পর্যন্ত বিস্তৃত। কর্ণফুলী বালু মহল (২) কোনো সময়ে ইজারা নেওয়া হয়নি। বালু মহল ২ এর সীমানা থেকে পাচঁখাইন, লাম্বুর হাট, লাম্বুর হাট সুইস গেইট, সওদাগর পাড়া, খেলার ঘাট এলাকায় প্রতিদিন অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করা হলেও কোন সময়ে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন কোন অভিযান করেনি।এ ব্যাপারে রাউজান উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি রিদুয়ানুল ইসলাম বলেন, কর্ণফুলী নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করতে অভিযান পরিচালনা করা হবে । কর্ণফুলী নদীর বালু মহল ইজারা দেওয়ার জন্য দরপত্র আহবান করছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক। ইজারা না নিয়ে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করলে উত্তোলনকারী যে হোক না কেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগতঃ ব্যবস্থা নেয়া হবে।