অন্তর আহমেদ বিশেষ প্রতিনিধি:
বগুড়া জেলার আদমদিঘী উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম ঘোড়াদহ পাড়ায় রোপণ করা বোরো ধান ক্ষেতে ক্ষতিকারক কিটনাশক স্প্রে করে ৬ বিঘা জমির ধান গাছ নষ্ট করে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী কৃষক মৃত লোকমান হোসনে ছেলে খোরশেদ সরদার (৪৪) জানিয়েছেন, এতে তার আনুমানিক ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার (০৬ এপ্রিল) সকালে ভুক্তভোগী বাদী হয়ে ০৮ জনের নাম উল্লেখ করে আদমদিঘী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার সময় বাদীপক্ষ ক্ষিপ্ত হয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র হাতে দলবদ্ধ হয়ে খোরশেদ সরদারের বাড়িতে এসে তাকে না পেয়ে ধান নষ্ট করা জমির পাশে দাঁড়িয়ে থাকা তার বড় ভাই ইউনুস সরদার(৫৪) এর উপর অতর্কিত হামলা চালায়। ইউনুস সরদার এর চিৎকার শুনে তার বাড়ির লোকজন এগিয়ে আসলে তাদেরকেও এলোপাতাড়ি ভাবে মারধোর শুরু করে। একপর্যায়ে পুলিশ ও গ্রামের লোকজন এসে তাদেরকে উদ্ধার করে বগুড়া জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। হাসপাতালে ইউনুস সরদার(৫৭) সহ রহিমা বেওয়া (৮২) আব্দুল রাজ্জাক(৫২) গোলাম মোরশেদ(৩৯) মোছা: হেলেনা বেগম(৫০) গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ধান ক্ষেত নষ্ট ও হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করার অভিযুক্তরা হলেন— উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম ঘোড়াদহ পাড়া গ্রামের আফজাল শাহ্ ছেলে রুবেল হোসেন (৩৭) মৃত সিরাজ উদ্দিন শাহ্ তিন ছেলে রইজ শাহ্ (৫১) রফিকুল শাহ্ (৫৬) রহিম উদ্দিন শাহ্(৫৮) রইজ শাহ্ ছেলে রাফি শাহ্ (১৮) রফিকুল শাহ্ ছেলে রেজা শাহ্ (৩২) মৃত বয়েজ উদ্দিন শাহ্ দুই ছেলে রাজু শাহ্ (৫৬) ফজলু শাহ্ (৫৪) ফজলু শাহ্ ছেলে ফাইম শাহ্ (২১) সহ অজ্ঞাত নামা আরো ৫-৭ জন। ভুক্তভোগী কৃষক খোরশেদ সরদার বলেন, আমাদের ০৬ বিঘা জমিতে বোরো ধান রোপণ করেছিলাম। পূর্বশত্রুতার জের ধরে একই এলাকার রহিচ উদ্দিন শাহ্ ও রফিকুল ইসলাম শাহ্ সহ বেশ কয়েকজন গত বৃহস্পতিবার রাতে ক্ষতিকর কীটনাশক স্প্রে করে। এতে ধান গাছগুলো বিবর্ণ হয়ে মরে গেছে। পরের দিন আমি থানায় অভিযোগ করলে রহিচ উদ্দিন শাহ্ ও রফিকুল ইসলাম শাহ্ জানতে পেরে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রাণে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে দলবদ্ধ হয়ে আমার বাসায় অতর্কিত হামলা চালায়। তাদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সরকারি জরুরী নাম্বার ৯৯৯ ফোন করে পুলিশ ও গ্রামবাসি আমাদেরকে উদ্ধার করেন। এই বিষয়ে প্রশাসনের কাছে আমি এর সঠিক বিচার চাই। অভিযোগ অস্বীকার করে রুবেল শাহ্ বলেন, আমি কেন তাদের ধান ক্ষেত নষ্ট করব? তারা নিজেরাই ধান ক্ষেত নষ্ট করে আমাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। মুঠোফোনে আদমদিঘী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম রজা সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ধান নষ্ট করার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।