দূর্গম এলাকায় জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছে সাজেদা কবির চৌধুরী প্রাথমিক বিদ্যালয়

 

শাহাদাত হোসেন , রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
কোমলমতি শিশুরা স্বাধীনতা আগে ও পরে শিক্ষা অর্জনে পিছিয়ে ছিল রাউজান উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের দূর্গম ও ফটিকছড়ি উপজেলার সীসান্তবর্তী হচ্চারঘাট এলাকার বসবাসরত শিশুরা। অতীতে সর্তার খালের কোমড় পানি দিয়ে হেঁটে হচ্চারঘাট পাড় হয়ে ওপাড়ে ফটিকছড়ি খিরাম এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় লেখাপড়া করতে হতো। যুগের পর যুগ ধরে শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিতদের অভিবাবকরা দাবি জানিয়ে আসছিল একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সর্তাখালের উপর হচ্চার ঘাটের ব্রিজ নির্মাণের। সেই স্বপ্ন পুরণ হয়েছে ২০১৩ সালে সাজেদা কবির চৌধুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মধ্যদিয়ে। রাউজানের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী নিজের মায়ের নামে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করে এ এলাকাকে আলোকিত করেছেন। তিনি ভিক্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন সর্তাখালের উপর একটি ব্রিজ নির্মাণের।সাজেদা কবির চৌধুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করে দেখা যায়, এই স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় মনযোগী করতে স্কুলের চারপাশকে সৃষ্টি করা হয়েছে মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক পরিবেশ। স্কুলের চারপাশে লাগানো হয়েছে হরেক রকমের ফুুল ও ফলদ গাছ। স্কুলের পাশে রয়েছে মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক পরিবেশে ঘেরা একটি রাবার বাগান। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার মাঠ। স্কুলের ভিতর প্রবেশ করলে মনে হবে একটি শিশু পার্ক। এ স্কুলের শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে নেই সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রেও।স্থানীয় ইউপি সদস্য সবুজ বড়ুয়া জানান, একসময় এই এলাকার হতদরিদ্র পরিবারের ছেলে -মেয়েরা পায়ে হেঁটে দুই কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে হলদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সর্তাখালের হাটু-কোমড় পালি অতিক্রম করে লেখাপড়া করতেন। এই একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় হওয়া জরুরী ছিল। বর্তমান সংসদ সদস্য আমার ওয়ার্ডকে আলোকিত করেছেন। স্থানীয় লোকজন জানান, ২০১৩ সালে সাজেদ কবির চৌধুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে উন্নতমানের শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে স্কুলটি। স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি মাওলানা দিদারুল আলম বলেন, স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশে সব ধরনের ব্যবস্থা আমরা গ্রহণ করেছি। মাননীয় সংসদ আর্থিক ও সার্বিক পরামর্শ দিয়েছেন বলে একটি প্রাকৃতিক পরিবেশ গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছে। স্কুল আঙিনায় ফুলে বাগান, বিভিন্ন জাতের ফলের বাগান করা হয়েছে। স্কুলের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা এসব গাছের দেখভাল করেন। শিক্ষার্থীরাও আনন্দের সাথে লেখাপড়া করে। স্কুলের প্রাধন শিক্ষক জানে আলম শরীফ বলেন, বর্তমানে আমাদের স্কুলে ১১০জন শিক্ষার্থী রয়েছে। ৫জন শিক্ষকের মধ্যে রয়েছে চার জন শিক্ষক পাঠদান করছেন। কোমলমতি শিশুরা আগের তুলনায় স্কুলগামী হচ্ছে। অভিভাকরাও শিক্ষার জন্য তাদের ছেলে মেয়েদের নিয়মিত স্কুলে পাঠাচ্ছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আজকের দিন-তারিখ
  • রবিবার (সকাল ১০:১৭)
  • ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ৫ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
  • ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (শরৎকাল)
পুরানো সংবাদ
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০