শাহাদাত হোসেন, রাউজান (চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি:
রাউজানে সর্তা খালের জল পথে প্রতিদিনি লাখ লাখ টাকার কাঠ পাচার করছে পাচারকারী চক্রের সদস্যরা।সূত্রে জানা গেছে,পার্বত্যঞ্চলের বিভিন্ন বনায়ন থেকে নিধন করা কাঠ সর্তার খালের জল পথে বাঁশের ছালি করে এনে স্তুপ করে গহিরা কালাচাঁন্দ চৌধুরী হটের করাত কল গুলোতে।সেখান থেকে দ্বিতীয় দফায় করাত কলে সাইজ করে রাতের আঁধারে চট্টগ্রাম শহর,ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ট্রাক ভর্তি করে পাচার করেন কাঠ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের সদস্যরা।এছাড়াও পার্বত্যঞ্চলের বিভিন্ন বনায়ন থেকে নিধন করা কাঠ রাঙামাটি মহাসড়ক, কাপ্তাই সড়কসহ রাউজান উপজেলার বিভিন্ন সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত ট্রাক,জীপ,টমটম ভর্তি করে কাঠ পাচার করা হচ্ছে।এসব কাঠের মধ্যে রয়েছে সেগুন,গর্জন,গামারী, কড়াই ও আকাশী মনি গোলা কাঠ।জানা যায়,জল পথে আসা প্রতি কাঠ ভর্তি বাঁশের ছালি ১৫০টাকা, বাঁশের ছালি ৫০টাকা আর কাঠ ভর্তি প্রতি জীপ ৫০০টাকা করে কাঠ ব্যবসায়ী সমিতিকে দিতে হয়।সেই টাকা দিয়ে অবৈধ কাঠ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের সদস্যরা বন বিভাগ,পুলিশকে মাসোহারা দিয়ে অবাধে কাঠ পাচার করছে।বনবিভাগ জেনেও কোন অভিযান পরিচালনা করে না।নীরব ভূমিকা পালন করছেন তাঁরা।এবিষয়ে চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগ হাটহাজারী রেঞ্জ,সর্তা বিট কর্মকর্তা এস.এম কাওছার হোসেন কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাতের আঁধারে কাঠ পাচারকারীরা সর্তা দিয়ে বাঁশের ছালি করে কাঠ পাচার করে থাকেন।সেনাবাহিনী বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে সর্তা থেকে কাঠ পাচারের কাঠ জব্দ করে।সম্প্রতি গহিরা এলাকার মুল সড়ক থেকে র্যাব-৭ সিপিসি-২ হাটহাজারী সহযোগিতায় পিকাপ বোঝাই কাঠ পাচারের গাড়ি জব্দ করা হয়েছে।তবে সর্তা খাল দিয়ে কাঠ পাচারের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখে কাঠ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।