মোশারফ হোসেন ফারুক মৃধা :
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে বেড়েছে মৌসুমী ফসল সরিষার আবাদ। বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ যেন ঢেকে গেছে সরিষা ফুলের হলুদ চাদরে। ফুলের গায়ে শীতের শিশির বিন্দু ফোঁটায় যেন এক সৌন্দর্য মনোহর এই দৃশ্য আকৃষ্ট করছে সব ধরণের পথচারীদের। সরিষাক্ষেতে এসে ছবি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়ছে অনেকে। এই উপজেলায় সবচেয়ে বেশি সরিষার চাষ হয়েছে। তুলনামূলক কম খরচ আর অল্প সময়ে ফসল ঘরে উঠায় উচ্চফলনশীল জাতের সরিষা চাষে ঝুঁকছেন এখানকার চাষীরা।
উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে দেখা যায় সিংহভাগ ইউনিয়নেই সরিষার চাষ হয়ছে। এর মধ্যে সরিষার বেশি চাষ হয়েছে ১০ নং গোবিন্দপুর, ১২ নং চরমদুঃখিয়া, ১৫ নং রুপসা উত্তর, ১৬ নং রুপসা দক্ষিন সহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকায়।
উপজেলার ১০নং গোবিন্দপুর ইউনিয়নের সরিষাচাষী তারিফ ইসলাম জানান, সরকারি সহায়তা নিয়ে এবার এক বিঘা জমিতে সরিষার চাষ করেছি। গাছ ভালো হয়েছে। ভালো ফলন পাওয়ার আশা করছেন তিনি।
তিনি আরও জানান, আমন ধান কাটার পর পরই বোরো আবাদের আগ পর্যন্ত জমি ফেলে না রেখে সরিষার চাষ করেছি। এ বছর তার বাজারের বাড়তি দামে ভোজ্যতেল কেনার প্রয়োজন পড়বে না, পারিবারিক চাহিদা মিটিয়ে। বাকীটা বাজারের বিক্রি করে খরচ চুকিয়ে লাভের প্রত্যাশা করেছেন এ চাষী।
মুক্তার হোসেন নামের অপর এক চাষী বলেন, সরিষার এবার ভালো ফলন হওয়ার সম্ভাবনা আছে। মূলতঃ এটা একটা বাড়তি ফসল হিসেবে আমরা চাষ করি।
১৪ নং ইউনিয়ন গজারিয়া এলাকার সরিষা চাষী আকরাম হোসেন জানান, এবার ছয় বিঘা জমিতে সরিষার চাষ করেছি। ফুল থেকে ফল আসতে শুরু করেছে। বাড়ির সারা বছরের খাবারের তেলের জন্য রেখে বাকিটা বিক্রি করে দেবেন। খরচ চুকিয়ে লাভের প্রত্যাশা করেছেন এ চাষীও।
ফরিদগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার নুরুল আমিন বলেন, সরকারি সহায়তা ও কৃষি অফিসের উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচির কারণে দিনে দিনে এ উপজেলায় তুলনা হারে সরিষার আবাদ বাড়ছে। আমরা চাষিদের সব সময় রোগবালাই প্রতিরোধে পরামর্শ দিয়ে আসছি। এ বছর উপজেলায় প্রায় ৬২১ হেক্টর চাষী জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে।